বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

Sel..........or............Sel..................and.............bought.........................

if you want to any think sell or Bought
to click this link
pleas click
....................................





http://www.clickbd.com

PR পাচ্ছিনা কেন Google PageRank নিয়ে নানা বিভ্রান্তি,?

Google PageRank নিয়ে সবার ধারনা সুস্পষ্ট নয়। অনেকাংশেই দেখা যায় যে কোনো কিছুর ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার ফলে সেই জিনিসটা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং কেউ ভুল পথে এগোতে থাকে, কেউ বা আবার সেটাকে ফালতু ও মূল্যহীন ভাবতে শুরু করেন। আজকে আমি আমার মতো করে আমার নিজস্ব ধারনা থেকে জানা ও শেখা ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো - Google PageRank বিষয়ে।

ইন্টারনেটে কোটি কোটি ওয়েবসাইট আছে, বিভিন্ন বিষয়ে, বিভিন্ন ভাষায় এবং বিভিন্ন বিভিন্ন দেশের এবং দেশবাসীর। সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে নথিভুক্ত হয়ে আছে এইসব ওয়েবসাইট। প্রতিদিন কয়েক বিলিয়ন সার্চ হচ্ছে এইসব ওয়েবসাইট। কিভাবে বিচার হবে কোনটা ভালো, কোনটা একটু কম ভালো? ইন্টারনেটে নেই ভোটদানের কেন্দ্র, নেই ভোটগণনার বালাই।

বিচার দুইভাবে হয়। Alexa rank করে ভিজিটার সংখ্যার ভিত্তিতে, গুগল করে তার নিজস্ব Google PageRank পদ্ধতি দিয়ে। আজকে আমরা কথা বলছি Google PageRank বিষয়ে। এই PageRank কিভাবে নির্ধারন করে গুগল? ইন্টারনেটের ওয়েবমাস্টাররাই ভোটাভুটি করেন। কিভাবে? আপনার একটি সাইট আছে, আপনি লিংক করলেন আমার দিকে, আমি পেলাম ব্যাকলিংক। মানে, আমি পেলাম একটি ভোট। আমি আরো দুইজনের ব্লগের দিকে লিংক করলাম, তারাও পেলেন ভোট। এইভাবে সবার বর্হিমূখী লিংকসমূহ গণনা করেই নির্ধারন করা হয়। নিয়ম তো জানেনই, যে বেশি ভোট পাবে তার Google PageRank ততো বেশি হবে।

আগের লেখায় একটি তালিকা দিয়েছিলাম আমি। তাতে দেখানো ছিলো যে PR0 থেকে PR1 পেতে গেলে কতোগুলি ব্যাকলিংকের প্রয়োজন, PR1 থেকে PR2 পেতে কতোগুলি প্রয়োজন, এইভাবে PR10 পর্যন্ত তালিকা ছিলো। সেইটা একবার দেখে নিন। তাতে ধারনা স্পষ্ট হবে কিছুটা।

এবারে আসছি বিতর্কিত বিষয়গুলিতে। ব্যাকলিংক কিভাবে গণনা হবে। অন্যান্য ব্লগে মন্তব্য করলেই ব্যাকলিংক সর্বদা গোনা হবেনা। সেই ব্লগ নো-ফলো হলে ব্যাকলিংক পাওয়া যাবেনা, ডু-ফলো হলেও যদি সেই ব্লগের টপিক আর আমাদের ব্লগের টপিক না মেলে তবেও ব্যাকলিংকের কোয়ালিটি হ্রাস পাবে। এই বিষয়েও আগে লিখেছিলাম, poor link, fair link, good link ইত্যাদি নিয়ে লিখেছিলাম আমি। Poor link হলে সেই ব্যাকলিংক পাওয়া না পাওয়ার সমান। কেবলমাত্র কোয়ালিটি ব্যাকলিংকের মূল্য আছে। সুতরাং, যারা যারা এখানে ওখানে মন্তব্য করে লিংকের আশায় আছেন, টপিক খুঁজে এবং ডু-ফলো কিনা সেটা দেখে তবেই মন্তব্য করুন।

অনেকের বক্তব্য আছে যে অনেকদিন অনেক পরিশ্রম করে ব্লগিং করেও কেন ভালো Google PageRank পাইনা? ওদিকে অন্যান্য ফালতু ব্লগগুলির PageRank বাড়ছে কেন?

ভালো করে বুঝুন, আমরা কে কতো পরিশ্রম করলাম সেটা বড় কথা না। কতোজনে লিংক করেছে আমাদের ব্লগের দিকে সেটাই বড় কথা। আমি বা আপনি অত্যন্ত মূল্যবান টপিক লিখেও Google PageRank শূণ্য পেতে পারি, অন্যদিকে আরেকজন ব্লগিংয়ের নামে ই-বুক ডাউনলোড দিয়েও PageRank 3 পেতে পারে। তার কারন কী জানেন? আপনি আপনার অত্যন্ত মূল্যবান ব্লগের জন্য মার্কেটিং করেননি। অন্যদিকে, ই-বুক ডাউনলোড সাইট মার্কেটিং না করলেও লোকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে খুঁজে নিয়ে লিংক করে ফেলেছে। ফলে PageRank পেয়ে গেছে। ই-বুক মূল্যবান শিক্ষনীয় সামগ্রীর অন্তর্গত, তাই প্রচুর ওয়েবমাস্টার সেখানে লিংক করেছেন রেফারেন্স হিসেবে। এর জন্য প্রচারের প্রয়োজন পড়েনা। মানুষ এমনিতেই খুঁজছে, সার্চ ইঞ্জিনেই পেয়ে যাচ্ছে এবং লিংক করে ফেলছে।

কিন্তু অন্যান্য সাধারন টপিকের ক্ষেত্রে তা হয়না। হতে পারে, তবে সেখানে অন্য আরো ফ্যাক্টর নির্ভর করে। আমার বাসার সামনেই এক ডাক্তার আছেন, উনি ৭ বছর ধরে ব্লগিং করছেন এবং Google PageRank 8। চার নয়, আট! এখানে ওনার ডোমেইনের বয়স যুক্ত হয়েছে, ৭ বছরের ডোমেইন ওনার। নির্ভরশীল এবং দীর্ঘকালের ডোমেইন। উনি এক নাগাড়ে ৭ বছর ব্লগ লিখছেন। মেডিক্যাল স্টুডেন্ট, অন্যান্য ডাক্তাররা, মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলি ওনার দিকে লিংক করে আছে। অসংখ্য .edu ব্লগের ব্যাকলিংক আছে ওনার। এবং, সবগুলিই পয়লা নম্বরের লিংক, মানে একটিও মন্তব্য করে পাওয়া লিংক নয়। হিসাব মতে PageRank 8 পেতে হলে 22 লাখ 36 হাজার 413-টি ব্যাকলিংকের প্রয়োজন যা ওনার ধীরে ধীরে হয়ে গিয়েছে ৭ বছরে।

এই তো গেল একটি উদাহরণ। অর্থ এটাই যে কিছু ব্লগের ক্ষেত্রে মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনা, আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জোরদার মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। এখন আপনিই ভাবুন, আপনার ব্লগ কি উপরের এই ডাক্তার সাহেবের মতো মূল্যবান কিছু? যদি নাহয়, তবে আপনার প্রয়োজন পড়বে মার্কেটিংয়ের। নয়তো PageRank পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হবে। আপনি হয়তো বিরাট মূল্যবান কিছুই লিখছেন, আপনার ব্লগের কয়েক হাজার লিংক হয়তো সার্চ ইঞ্জিনে নথিভুক্তও আছে, কিন্তু তাতে কী, আপনার মতো এমন আরো অনেকে আছে। সুতরাং, ব্যাকলিংকের জন্য কষ্ট করতে হবে যদি Google PageRank চান। না চাইলে যেমন চলছে তাই চলুক - তাতে ক্ষতি নেই একেবারেই।

সবশেষে বলি, Google PageRank একেবারেই অবশ্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নয়। যদি এটা ছাড়াও আপনার ব্লগ ভালো ভিজিটার পায় এবং আয়ও ভালো হয়, তাহলেই নিজের পরিশ্রমের মূল্য পেয়েছেন বলে মনে করে নেবেন। বাংলা ব্লগ থেকে সরাসরি আয় নেই তবে ভিজিটার পেলেই খুশী হতে চেষ্টা করুন। সবাই শাহরুখ খান হয়না, তাইনা?

আমারও আকাশপ্রদীপ ব্লগ PR4 ছিলো, আর এই ব্লগ PR3-তে আটকে আছে। অবশ্য, ডোমেইন আমি মার্চ মাসে পেয়েই প্রথম Google PageRank আপডেটেই PR3 পেয়েছি এপ্রিল মাসে, এর পরে আর Google PageRank update হয়নি এই বছরে। তবে আমার PageRank আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই কারন আমি ব্যাকলিংকের চেষ্টা করিনা আর। আমি জুলাই মাস থেকেই ব্যাকলিংকের চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছি।

কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে নতুন ব্লগ দ্রুত ইন্ডেক্স করা যায় ?

নতুন একটি ব্লগ বানিয়ে তাতে অল্প ২/৩-টি লেখা দিয়েই সার্চ ইঞ্জিন পাতায় নতুন ব্লগকে দ্রুত ইন্ডেক্স করাতে চাই আমরা সবাই। এক মজার খেলা। গুগল যেন চোর-পুলিশ খেলতে থাকে। কখনো দেখা যায় ১ দিনেই ইন্ডেক্স করা শুরু হয়ে গেছে, কখনো বা দেখায় যায় ৬/৭ দিন পার হওয়ার পরে ইন্ডেক্স করছে। আপনারা জেনে বিষ্মিত হতেও পারেন, আমার দেখা সর্বোচ্চ সময় লেগেছে ৯ মাস! ওইটা ছিল একটি ছবি ব্লগ, প্রত্যেক ছবির সঙ্গে ১/২ প্যারাগ্রাফ বিবরণ। একেবারেই ইউনিক লেখা। সেই ব্লগ ৯ মাস পরে ইন্ডেক্সে স্থান পেয়েছে।

আমার জন্য সেই ব্লগটা ছিলো জরুরী, অন্যদের কাছে নাও হতে পারে। তাই আমি মুছে ফেলিনি কারন ওই ব্লগ গুগল ইন্ডেক্স না করলেও সেইটা আমি চালিয়ে যেতাম। কিন্তু ৯ মাস কয়জনে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবেন? ১ মাস পেরিয়ে গেলেই তো মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে দেবে যে কী হলো, কেন গুগল এই ব্লগ ইন্ডেক্স করছেনা! শুরু হয়ে যাবে একে ওকে জিজ্ঞেস করার পালা, কী করলে ইন্ডেক্স হবে ইত্যাদি।

সত্যি বলতে কি, নতুন ব্লগকে দ্রুত ইন্ডেক্স করানোর নির্দিষ্ট কোনো নিশ্চিত উপায় আছে বলে আমার জানা নেই। কিছু চেষ্টা অবশ্যই করা যেতে পারে। তবে সেইসব চেষ্টার গ্যারান্টী আছে কিনা আমি জানিনা।

প্রথমেই গুগল ওয়েবমাস্টার টুলসে নতুন ব্লগকে যুক্ত করে নিলে ভালো হয়। সাইটম্যাপ যুক্ত করে নিলে আরো ভালো হয়, সেইসঙ্গে, টার্গেট অডিয়েন্স জানিয়ে দেওয়া। গুগলের অনেক সার্ভার, তাই আমাদের কন্টেন্ট কোন ভৌগলিক এলাকার পাঠকদের জন্য সেইটা জানালে খুব ভালো হয়। এর পরে গুগল এনালিটিক্স কোড বসিয়ে নেওয়া। ভিজিটার ট্র্যাকিংয়ের জন্য। এর পরে ব্লগসার্চ.গুগল.কম পাতায় গিয়ে একেবারে নিচে লিংক দেখুন "Information for Blog Authors" সেখানেও নিজের ব্লগের ঠিকানা যুক্ত করে দিন। (ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ হলে সরাসরি আরএসএস ঠিকানা দিন এইখানে, http দিতে হবেনা)

এর পরে যেসব ছলচাতুরী গুগলের সঙ্গে সেটা একটু অন্য ব্যাপার। ট্যুইটারে ব্লগের লিংক দেওয়া শুরু করতে হবে, সাথে মেটা description ট্যাগের কিছুটা অংশ। এইখানে কোনো লিংক শর্ট করে দেবেন না যেন, ব্লগের প্রধান পাতার লিংক দিতে হবে। আর, বিবরণ মেটা ট্যাগের অংশ কেন দিতে বললাম? কারন এটাই সর্বপ্রথমে গুগল ইন্ডেক্স শুরু করবে। বিবরণ জরুরী, তাতেই বোঝা যাবে এই লিংকে কী আছে! ট্যুইটারকে উপযুক্ত উপায়ে ব্যবহার করুন।

ট্যুইটারে যদি লেখেন আমি আজকে নতুন একটি ব্লগ খুলেছি এবং তার ঠিকানা bn.ria8.me.uk, তাতে কিছুই লাভ হবেনা। এতে আপনার বন্ধুবান্ধব আকৃষ্ট হতে পারেন, তবে গুগল রোবট নয়। কোটি কোটি ব্লগ আছে, আপনি কে? কি লিখছেন? ব্যাপার কী? স্পষ্ট কথায় রোবটকে দিতে হবে তার উপযুক্ত খাদ্য যেটা সে চায়।

ফেসবুকে একটি ফ্যান পেজ বানিয়ে নিন। তাতে কিছু ফ্রেন্ডকে ডাকুন। এবারে বিবরণসহ সেখানে লিংক দিতে শুরু করুন। যদি ইংরাজী ব্লগ হয়, তবে Digg.com সাইটেও লিংক দিতে পারেন। Yahoo Buzz সাইটেও দিন। Stumbleupon.com ব্যবহার করেন? সেখানেও লিংক দিন। লক্ষ্য করুন, আমি কিন্তু গুগল বাজ় এড়িয়ে গেলাম!

কেন?

এটাই অনলাইনের বড় খেলোয়াড়দের খেলা। গুগলকে দেখান আপনার নতুন ব্লগের লিংক অন্যান্য বড়সড় সাইটে দেখা যাওয়া শুরু হয়ে গেছে। এইভাবে রোবটকে একটু অস্থির করে তোলার লক্ষ্যেই এই খেলা আমরা খেলবো। গুগল বিশ্বের ১ নম্বর সাইট, তার পাতায় লিংক নেই অথচ অন্যান্য বড় সাইটের পাতায় লিংক এসে গেছে - গুগল রোবটের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া আর কি!

এছাড়াও যদি পারেন, চেনাপরিচিতদের সাইটে একটি করে লিংক দেওয়ার অনুরোধ জানাতে পারেন। যদি আপনি কোনো ব্লগের গেস্ট ব্লগার হন, তবে ইউনিক একটি আর্টিকেল লিখে নতুন ব্লগের লিংক দিতে পারেন। এতে প্রচুর অরিজিনাল ভিজিটার পাবেন। আর হ্যাঁ, খুউব গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে নতুন ব্লগে একেবারেই বিজ্ঞাপন দিয়ে ভরাবেন না। সম্পুর্ণ বিজ্ঞাপনমুক্ত ব্লগ ইন্ডেক্স করানোর চেষ্টা করুন।

আমি আগেই বলেছি, কোনো পথই টেকনিক্যালি নিশ্চিত এবং ১০০% গ্যারান্টীযুক্ত নয়। আমি আমার সমস্ত চেষ্টা করেও একটি ব্লগস্পট ব্লগকে ৯ মাসে ইন্ডেক্স করাতে পারিনি। এই একটি উদাহরণ বাদে বাকি ক্ষেত্রে আমি দেখেছি যে অত্যন্ত জনপ্রিয় বিষয়ের ব্লগ হলে ১/২ দিনে ইন্ডেক্স শুরু হয়েছে, কম জনপ্রিয় হলে ৬/৭ দিনও লেগেছে, আবার অতি সাধারন টপিকে ১ মাসও লেগেছে।

রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০

যেসব কারনে এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হয়

গুগল এডসেন্স একাউন্ট বাতিলের সমস্যা অসংখ্য ব্লগারের। বিশেষ করে বাংলদেশে যেন এডসেন্স একাউন্ট বাতিলের ঝড় উঠে গেছে। যদিও কিছু ইউজার স্বীকার করেন যে তারা না জেনে নিজেদের ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেছিলেন - তারা পরীক্ষা করে দেখতে চাইছিলেন, কিন্তু বেশিরভাগ ইউজার বলেন যে তারা কিছুই করেননি, তবুও গুগল তাদের একাউন্ট বাতিল করেছে। কেউ কেউ রাগ করে গুগলকে অসৎ ও অসাধু আখ্যাও দিয়েছেন। আজকে আলোচনা করছি এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হওয়ার সম্ভাব্য কিছু সাধারন কারন। জেনে নিন কিভাবে নিজেদের একাউন্ট বিপদের মুখে ঠেলে দেন আপনারাই এবং পরে মুখ ভার করে ভাবতে বসেন "আমি তো কিছু করিনি"!
এই তো সেইদিন আপনাকে সাইবার ক্যাফেতে দেখলাম?
ভেবে দেখুন, কতোবার আপনি সাইবার ক্যাফে থেকে নিজের ব্লগে লগিন করেছেন এবং তাড়াহুড়ায় পোস্ট লিখে প্রকাশ করে দিয়েছেন? নয়তো এমনিই অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে নিজের ব্লগ পাতাও খুলে দেখছিলেন? ভাবছেন তাতে আর কি আসে যায়? বহু সাইবার ক্যাফেতে ব্রাউজারের হিস্ট্রি মোছা হয়না কিম্বা আপনি চাইলেও মুছতে পারবেন না। আপনার পরে যিনি এসে বসেছিলেন তিনি নেহাতই কৌতুহলবশতঃ হিস্ট্রি থেকে ব্রাউজিং তালিকা দেখে একে একে সব সাইটে ঢুকেছিলেন এবং তারই মাঝে উৎসুক হয়ে বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করে দিয়েছেন! একই কমপিউটার, একই আইপি, একই ব্রাউজার - আপনার অজান্তেই ক্লিক হয়ে গেল, একদিন আপনার একাউন্ট বাতিল এবং "আমি তো কিছু করিনি" ভেবে অবাক হলেন।
বন্ধুকে ব্লগিং ও আয় করা শেখাচ্ছিলেন?
প্রাণের দোস্তকে তারই বাড়িতে বসে শেখাচ্ছিলেন কেমন করে আয় হয়, কিভাবে ব্লগ লেখে আর আপনার ব্লগের হদিশ দেখিয়ে বাহবা নিলেন? গোলযোগ সৃষ্টি করলেন তাহলে! আপনি চলে আসার পরে আপনার সেই দোস্ত আপনার ব্লগে কতোবার যে দেখতে গেলেন, আপনার কথা সত্য কিনা দেখার জন্য বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করলেন বেশ কয়েকবার। তাহলে বন্ধু চিনতে ভুল করেছেন। এই ভুলের মাশুল দিতে হলো আপনাকে একাউন্ট বাতিল হয়ে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্লগ ব্রাউজ করেন নাকি?
ইউনিভার্সিটি থেকে নিজের ব্লগ দেখছিলেন নাকি? বেশ ভালোই বিপদ ঘটিয়েছেন তবে! একেবারে বাঘের আড্ডাতেই বাঘকে দেখিয়ে দিলেন কিকরে আপনাকে মেরে খেতে হবে? যেখানে প্রচুর বেশি জানা টেকিদের আনাগোনা, সেখানে নিজে ব্লগ পাতা লোড করেছেন কি মরেছেন। একাউন্ট বাতিল হতে দেরী হবেনা!
অফিস থেকে টুক করে পোস্ট প্রকাশ করে দেন?
অফিস কমপিউটার থেকে ব্লগ পাতা লোড করা, ব্লগে লগিন করে পোস্ট লেখা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন। অনেক অফিসে অতি পাকা সিস্টেমস এডমিন থাকে যারা সবার কমপিউটারে নজরদারী করেন। এইসব ক্ষতিকারক লোকের উপস্থিতি আপনার অফিসে থাকলে অফিসে বসে ব্লগ লেখা কিম্বা ব্লগ ব্রাউজ করা বাদ দিন। কারো ক্ষতি করতে ট্যাক্স লাগেনা, অনেকে সহজেই করে ফেলেন সেটা।
অযথা প্রচার করতে গিয়ে একাউন্ট বাতিল
এই পৃথিবীতে সত্যিকারের বন্ধু খুবই কম হয়। আশাকরি একথা একবাক্যে সবাই স্বীকার করবেন। বেশ কিছু পাবলিক দেখেছি যারা সব কথার পেছনে নিজের ব্লগের ঠিকানা দিয়ে আসেন অন্যত্র। "কেমন আছেন? http://habijabi.blogspot.com" এই হচ্ছে নমুনা। মনে রাখবেন, এডসেন্স আয় অনেকেরই কম, তাই প্রতিযোগী কমাতে কিছু লোক চেষ্টায় থাকেন যাতে অন্যদের একাউন্ট বাতিল করানো যায়। আপনাকে ব্যান করিয়ে আপনাকে ল্যাং মেরে এগিয়ে যাওয়ার লোকের অভাব হবেনা।
টেমপ্লেট/থিম বানিয়ে এডসেন্স দিয়ে লোককে দিয়েছেন
গুগলের ফোরামে গিয়ে দেখুন, বেশি পাকা থিম ডিজাইনার ডাউনলোড দেওয়া থিমের মধ্যে এডসেন্স আইডি দিয়ে নিজের একাউন্ট খুঁইয়েছেন। ব্লগ থিম/টেমপ্লেট ডাউনলোডের সাইট অনেকেই খুলেছেন, এখান ওখান থেকে জিনিস নিয়ে তাতে নিজেদের এডসেন্স আইডি অনেকেই বসিয়েছেন। মনে আশা ছিল যে অল্প জানা ইউজার ওইসব ডাউনলোড করে ইউজ করলে আয়ের ভাগ পাবেন ডাউনলোডদাতারা। ব্যাস, লোভে পাপ, পাপে মৃত্য ঘটেছে। নিজের এমন মৃত্যু ঘটাবেন না যেন!
গুগলে সঙ্গে চালাকি করছিলেন?
ঢাকায় থাকেন, আর চট্টগ্রামে গিয়ে সাইবার ক্যাফেতে বসে নিজের ব্লগে ক্লিক করে আয় বাড়াতে চেয়েছিলেন? ভেবেছিলেন গুগল বুঝতে পারবেনা? আপনারা যে গুগলের কাছে ছোট্ট শিশু সেকথা কবে বুঝবেন? বিশ্বের অনেকগুলি দেশে বহু হাজার হাজার টাকা দিয়ে জ্ঞানীগুনী লোকজন চাকরীতে রেখেছে গুগল - কিসের জন্য? যে কেউ এসে বোকা বানিয়ে চলে যাবে সেইজন্যই কি? এই ধারনা থাকলে বড্ড ভুল করেছেন। প্রতিটি আইপি এড্রেসের অন্তত ৩ বছরের ব্রাউজিং হিস্ট্রি থাকে গুগলের কাছে। গুগলের এতো সার্ভিস আছে যে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি আইপি একবার না একবার গুগলের কোনো না কোনো সার্ভিসে ঢুকেছেই। যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে গুগলের কোনো সার্ভিসই ব্যবহার করেনি একটি নির্দিষ্ট আইপি, তবুও গুগল জেনে যাবে। কারন? সাইট ব্রাউজ করছে সেই আইপি, এবং বিস্তর সাইটে গুগল এনালিটিক্স কোড আছে! গুগলকে ধোঁকা দেওয়া এতো সহজ না!

গুগল এই বিশ্বের সবাইকে এক চরম নাগপাশে জড়িয়ে ফেলেছে, এখন ভদ্রভাবে চলুন, নতুবা খবর আছে!

যেসব কারনে এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হয়

গুগল এডসেন্স একাউন্ট বাতিলের সমস্যা অসংখ্য ব্লগারের। বিশেষ করে বাংলদেশে যেন এডসেন্স একাউন্ট বাতিলের ঝড় উঠে গেছে। যদিও কিছু ইউজার স্বীকার করেন যে তারা না জেনে নিজেদের ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেছিলেন - তারা পরীক্ষা করে দেখতে চাইছিলেন, কিন্তু বেশিরভাগ ইউজার বলেন যে তারা কিছুই করেননি, তবুও গুগল তাদের একাউন্ট বাতিল করেছে। কেউ কেউ রাগ করে গুগলকে অসৎ ও অসাধু আখ্যাও দিয়েছেন। আজকে আলোচনা করছি এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হওয়ার সম্ভাব্য কিছু সাধারন কারন। জেনে নিন কিভাবে নিজেদের একাউন্ট বিপদের মুখে ঠেলে দেন আপনারাই এবং পরে মুখ ভার করে ভাবতে বসেন "আমি তো কিছু করিনি"!
এই তো সেইদিন আপনাকে সাইবার ক্যাফেতে দেখলাম?
ভেবে দেখুন, কতোবার আপনি সাইবার ক্যাফে থেকে নিজের ব্লগে লগিন করেছেন এবং তাড়াহুড়ায় পোস্ট লিখে প্রকাশ করে দিয়েছেন? নয়তো এমনিই অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে নিজের ব্লগ পাতাও খুলে দেখছিলেন? ভাবছেন তাতে আর কি আসে যায়? বহু সাইবার ক্যাফেতে ব্রাউজারের হিস্ট্রি মোছা হয়না কিম্বা আপনি চাইলেও মুছতে পারবেন না। আপনার পরে যিনি এসে বসেছিলেন তিনি নেহাতই কৌতুহলবশতঃ হিস্ট্রি থেকে ব্রাউজিং তালিকা দেখে একে একে সব সাইটে ঢুকেছিলেন এবং তারই মাঝে উৎসুক হয়ে বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করে দিয়েছেন! একই কমপিউটার, একই আইপি, একই ব্রাউজার - আপনার অজান্তেই ক্লিক হয়ে গেল, একদিন আপনার একাউন্ট বাতিল এবং "আমি তো কিছু করিনি" ভেবে অবাক হলেন।
বন্ধুকে ব্লগিং ও আয় করা শেখাচ্ছিলেন?
প্রাণের দোস্তকে তারই বাড়িতে বসে শেখাচ্ছিলেন কেমন করে আয় হয়, কিভাবে ব্লগ লেখে আর আপনার ব্লগের হদিশ দেখিয়ে বাহবা নিলেন? গোলযোগ সৃষ্টি করলেন তাহলে! আপনি চলে আসার পরে আপনার সেই দোস্ত আপনার ব্লগে কতোবার যে দেখতে গেলেন, আপনার কথা সত্য কিনা দেখার জন্য বিজ্ঞাপনেও ক্লিক করলেন বেশ কয়েকবার। তাহলে বন্ধু চিনতে ভুল করেছেন। এই ভুলের মাশুল দিতে হলো আপনাকে একাউন্ট বাতিল হয়ে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্লগ ব্রাউজ করেন নাকি?
ইউনিভার্সিটি থেকে নিজের ব্লগ দেখছিলেন নাকি? বেশ ভালোই বিপদ ঘটিয়েছেন তবে! একেবারে বাঘের আড্ডাতেই বাঘকে দেখিয়ে দিলেন কিকরে আপনাকে মেরে খেতে হবে? যেখানে প্রচুর বেশি জানা টেকিদের আনাগোনা, সেখানে নিজে ব্লগ পাতা লোড করেছেন কি মরেছেন। একাউন্ট বাতিল হতে দেরী হবেনা!
অফিস থেকে টুক করে পোস্ট প্রকাশ করে দেন?
অফিস কমপিউটার থেকে ব্লগ পাতা লোড করা, ব্লগে লগিন করে পোস্ট লেখা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন। অনেক অফিসে অতি পাকা সিস্টেমস এডমিন থাকে যারা সবার কমপিউটারে নজরদারী করেন। এইসব ক্ষতিকারক লোকের উপস্থিতি আপনার অফিসে থাকলে অফিসে বসে ব্লগ লেখা কিম্বা ব্লগ ব্রাউজ করা বাদ দিন। কারো ক্ষতি করতে ট্যাক্স লাগেনা, অনেকে সহজেই করে ফেলেন সেটা।
অযথা প্রচার করতে গিয়ে একাউন্ট বাতিল
এই পৃথিবীতে সত্যিকারের বন্ধু খুবই কম হয়। আশাকরি একথা একবাক্যে সবাই স্বীকার করবেন। বেশ কিছু পাবলিক দেখেছি যারা সব কথার পেছনে নিজের ব্লগের ঠিকানা দিয়ে আসেন অন্যত্র। "কেমন আছেন? http://habijabi.blogspot.com" এই হচ্ছে নমুনা। মনে রাখবেন, এডসেন্স আয় অনেকেরই কম, তাই প্রতিযোগী কমাতে কিছু লোক চেষ্টায় থাকেন যাতে অন্যদের একাউন্ট বাতিল করানো যায়। আপনাকে ব্যান করিয়ে আপনাকে ল্যাং মেরে এগিয়ে যাওয়ার লোকের অভাব হবেনা।
টেমপ্লেট/থিম বানিয়ে এডসেন্স দিয়ে লোককে দিয়েছেন
গুগলের ফোরামে গিয়ে দেখুন, বেশি পাকা থিম ডিজাইনার ডাউনলোড দেওয়া থিমের মধ্যে এডসেন্স আইডি দিয়ে নিজের একাউন্ট খুঁইয়েছেন। ব্লগ থিম/টেমপ্লেট ডাউনলোডের সাইট অনেকেই খুলেছেন, এখান ওখান থেকে জিনিস নিয়ে তাতে নিজেদের এডসেন্স আইডি অনেকেই বসিয়েছেন। মনে আশা ছিল যে অল্প জানা ইউজার ওইসব ডাউনলোড করে ইউজ করলে আয়ের ভাগ পাবেন ডাউনলোডদাতারা। ব্যাস, লোভে পাপ, পাপে মৃত্য ঘটেছে। নিজের এমন মৃত্যু ঘটাবেন না যেন!
গুগলে সঙ্গে চালাকি করছিলেন?
ঢাকায় থাকেন, আর চট্টগ্রামে গিয়ে সাইবার ক্যাফেতে বসে নিজের ব্লগে ক্লিক করে আয় বাড়াতে চেয়েছিলেন? ভেবেছিলেন গুগল বুঝতে পারবেনা? আপনারা যে গুগলের কাছে ছোট্ট শিশু সেকথা কবে বুঝবেন? বিশ্বের অনেকগুলি দেশে বহু হাজার হাজার টাকা দিয়ে জ্ঞানীগুনী লোকজন চাকরীতে রেখেছে গুগল - কিসের জন্য? যে কেউ এসে বোকা বানিয়ে চলে যাবে সেইজন্যই কি? এই ধারনা থাকলে বড্ড ভুল করেছেন। প্রতিটি আইপি এড্রেসের অন্তত ৩ বছরের ব্রাউজিং হিস্ট্রি থাকে গুগলের কাছে। গুগলের এতো সার্ভিস আছে যে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি আইপি একবার না একবার গুগলের কোনো না কোনো সার্ভিসে ঢুকেছেই। যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে গুগলের কোনো সার্ভিসই ব্যবহার করেনি একটি নির্দিষ্ট আইপি, তবুও গুগল জেনে যাবে। কারন? সাইট ব্রাউজ করছে সেই আইপি, এবং বিস্তর সাইটে গুগল এনালিটিক্স কোড আছে! গুগলকে ধোঁকা দেওয়া এতো সহজ না!

গুগল এই বিশ্বের সবাইকে এক চরম নাগপাশে জড়িয়ে ফেলেছে, এখন ভদ্রভাবে চলুন, নতুবা খবর আছে!

ব্লগ থেকে কি আয় সম্ভব?

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় একজন ইউজার ব্লগ একাউন্ট খোলেন আয়ের উদ্দেশ্যে, অথচ কিছুদিন পরে তিনি আবিষ্কার করেন যে তিনি আয় করতে পারেননি, হয় আশানুরূপভাবে পারেননি নয়তো একেবারেই পারেননি। তখন শুরু হয় অন্ধকারে হাতরে বেড়ানোর পালা। প্রোফেশনাল ব্লগারদের সুখ্যাতি শুনে তাদের ব্লগে যাওয়া, অন্যান্য ইউজারদের সাফল্যের কাহিনী পড়ে তাদের সফল ব্লগটিকে নীরিক্ষণের পালা। কিন্তু কিছুতেই যেন আয়ের পথ খোলেনা। কেন?
ব্লগিং কাকে বলে? কারা ব্লগিং করে?
প্রথমেই বুঝে নিন যে ব্লগ লেখা আর ব্লগ থেকে আয় হওয়া দুটি এক জিনিস নয়। সহজ করে বলি? একটি বিল্ডিং বানানোর অর্থ তাতে বসবাস করার জন্য নয়তো শপিং মল বানানোও হতে পারে। ব্লগ একাউন্ট খুলে ফেললেই আপনি ব্লগার হবেন না। আপনি কি লেখক? কিছু লেখার ক্ষমতা আছে কি আপনার? তবেই ব্লগার হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যে বিল্ডিং বানাবেন সেটাই হবে আপনার বাসস্থান। আপনার মন এবং আত্মা থাকবে সেখানে, সেই ব্লগ হবে সফল। আর ব্লগ থেকে আয়, ওই যে বললাম, শপিং মল বানানোর মতো ব্লগকে ভার্চ্যুয়াল শপ বানিয়ে ফেলতে পারলে তবেই আশানুরূপ আয় হবে। এক্ষেত্রে বিল্ডিং বানাবেন কমার্শিয়াল উদ্দেশ্যে।

সুতরাং, প্রথমেই বেছে নিন কী উদ্দেশ্যে বিল্ডিং বানাবেন, অর্থাৎ এক্ষেত্রে কী উদ্দেশ্যে ব্লগ লিখবেন। আয়ের চিন্তা বা উদ্দেশ্য থাকলে দয়া করে বুঝে নিন যে এই জগতসংসার চলছে বানিজ্যের উপরে ভিত্তি করে, তাই আপনাকে পণ্য বিক্রয় করতে হবে আপনার ব্লগের মাধ্যমে। গুলশান মার্কেটে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু যেভাবে করতে হবে, সেইভাবেই অনলাইনে ব্লগ একাউন্ট নিয়ে ব্যবসার শুরু করুন। এক্ষেত্রে blogger কম, বেশি করে হতে হবে seller। তফাৎ শুধুই এইটুকু যে আপনার দোকানটি গুলশান মার্কেটে নাহয়ে হবে ইন্টারনেটে - www-তে।

তাহলে আগেই নির্ধারন করে নিন যে আপনি লেখক, নাকি আপনি বিক্রেতা। দিশাহীন হবেননা। তাতে পথ হারিয়ে ফেলবেন।
ব্লগ থেকে আয় | কেস স্টাডি ১
ব্লগার রিয়া। লেখার বিষয়ে সফল রিয়া লোকমুখে শুনে এ্যাডসেন্স আবেদন করলো, ৫ মিনিটের মধ্যে আবেদন মঞ্জুর। পরবর্তী ৬ মাস ধরে আয় হয়েছে মাসে ২ বা ৩ ডলার। হতাশ রিয়া। তখন এতো প্রতিযোগীতা ছিলোনা। প্রো-ব্লগাররা জন্মাননি তখনো। গুগল তখন বিগ ব্রাদার ছিলোনা, মাইক্রোসফট ইন্টারনেট দুনিয়া কাঁপাচ্ছে তখনো, সাথে ইয়াহু। এ্যাডসেন্স তখন সবেমাত্র ৪ মাস হলো চালু হয়েছে, তাই কোনো এক্সপার্টদের লেখালেখি ছিলোনা। এবং, এসইও তখন হাস্যকর অলীক চিন্তা ছিলো। ব্লগের ব্যাপারে niche নামের জিনিসটির আবির্ভাব ঘটেনি তখনো।

ব্লগার রিয়া আয়ের চিন্তা ভুলে তার স্বাভাবিক লেখার ফিরে গেলো। সাধারন ব্লগস্পট ব্লগ। হঠাৎই একদিন হাজারে হাজারে ভিজিটার। অথচ মিশ্র বিষয়ের ব্লগে, নেই নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু। হতাশ রিয়া এ্যাডসেন্স একাউন্টে লগিন করেই চমকে ওঠার মতো অবস্থা। জোরদার আয় হয়েছে। একটি চেক অবশ্যম্ভাবী। হতাশ রিয়ার সামনে একটি আশার আলো। কিন্তু ক্ষীণ আলো। কারন ভালো ট্র্যাকিং ব্যবস্থা নেই, তাই জানার উপায় নেই কোন বিষয়ে এতো ভিজিটার এলো। দিশাহীন রিয়া। সেই ব্লগে তখন ৫৫০'টির মতো পোস্ট।
ব্লগ থেকে আয় | কেস স্টাডি ২
যেমন মানুষের স্বভাব, বসতে পেলে শুতে চায়! কিছু চেক হাতে পেয়েই আনন্দে রিয়ার মাথা খারাপ। আরো ব্লগ বানাতে হবে, আয় আরো বাড়াতে হবে। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। বাড়তি ব্লগগুলি বিফল হতে লাগলো। অথচ এবারের ব্লগগুলি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে ভিত্তি করেই তৈরী। ব্লগার রিয়া অসম্ভব এক বাস্তবের সম্মুখীন। একদিকে মিশ্র বিষয়ের ব্লগ সাফল্যের মুখ সেই যে দেখেছে, জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে সেটির। অন্যদিকে সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ব্লগে একেবারেই সাড়া মিলছেনা।

এতোদিন সামান্য হলেও কিছু লেখালেখি হচ্ছে, ফোরামে এবং অন্যান্য ব্লগে বাকিরা শেয়ার করতে শুরু করেছে তাদের অভিজ্ঞতা। শুরু হলো ব্লগার রিয়ার ব্লগ-পড়াশুনার পালা। দিশাহীন মিশ্রবিষয়ের ব্লগ কেন সফল আর সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ব্লগ কেন সফল নয়। ধীরে ধীরে জানা গেল কিছু কঠিন সত্য। লিখতে জানলেই হবেনা! আয়ের পথ লেখালেখি নয়, লেখার মধ্যে দিয়ে পণ্য বিক্রয়। নিপূণ লেখনী দিয়ে পাঠককে পৌছে দেওয়া বিক্রেতার কাছে - এটাই মূল বাস্তব হয়ে ধরা দিতে লাগলো।

লেখার জন্য লেখা, আর বিক্রয়ের জন্য লেখা - দুটি আলাদা জিনিস। এই উঠে এলো পরীক্ষানীরিক্ষার মধ্যে দিয়ে। ব্লগার রিয়াকে হতে হলো সেলার রিয়া। অল্প অল্প করে সাফল্য যেন আবার আসার ঈঙ্গিত দিতে লাগলো। পরিষ্কার ভাবে আলাদা হয়ে গেলো দুই ধরনের লেখালেখি। রিয়ার তখন বেসামাল অবস্থা, দুই নৌকায় পা। একদিকে লেখার প্রতি ভালোবাসা, অন্যদিকে নিজেকে বিক্রেতা বানিয়ে ফেলা, নাহলে গুগলের চেক আসবেনা। স্পষ্ট হয়ে গেলো নন-কমার্শিয়াল এবং কমার্শিয়াল ব্লগের ফারাক।
এখানেই ব্লগ থেকে আয়ের শুরু...
চলার পথ যখনই ভালো করে চিনে নেওয়া হলো, তখন থেকেই রিয়া আর হতাশ নয়। নতুন ছন্দে এগিয়ে চলার পালা। "ব্লগ" আলাদা থাকলো, "আয়" আলাদা করা হয়ে গেলো তখন। বানিজ্যিক মনোভাবাপন্ন জগতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই এগোতে হবে। টেক ব্লগ দিয়ে হবেনা, সফটওয়্যার ডাউনলোড আর ট্রিকস শিখিয়ে হবেনা, গান বা মুভি ডাউনলোডের ব্লগ দিয়েও হবেনা। কারন এইসব কোনো পণ্য হিসেবে ব্লগিং করা হয়না।

কাউকে কি দেখেছেন সফটওয়্যার টিপস দিয়ে সেই সফটওয়্যার কিনতে বলছে? কাউকে দেখেছেন গানের প্রিভিউ দিয়ে পুরো এ্যালবাম কিনতে বলছে? এইসব চলেনা। মানুষের মন ফ্রি ডাউনলোডের দিকে। বিজ্ঞাপনে কেউ ক্লিক করবেনা। যারা কেনার, তারা ব্লগ পড়ে তারপরে কেনার জন্য অপেক্ষা করেনা। তাহলে উপায়? হ্যাঁ, উপায় একটাই, অনলাইনে কেনা যায় অথচ ডাউনলোড হয়না এমন পণ্যের মার্কেটিং করুন। অফলাইনে অর্থাৎ বাজারে গিয়ে কিনতে হয় এমন পণ্যের মার্কেটিং করুন। অনলাইনে কিনে শিপিং করে ক্রেতার বাসায় পৌছে দেওয়া হয় এমন পণ্যের মার্কেটিং করুন। আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি - আপনাক হতে হবে পণ্য বিক্রেতার অনলাইন রিপ্রেজেন্টেটিভ। তার সেলস এজেন্ট। এটাই আয়ের রাস্তা।

এই রাস্তা অনেকদূর গিয়েছে, এর অনেক শাখাপ্রশাখা। বাজারে প্রচুর পণ্য, মানুষের কি কি খুব জরুরী সেইসবকে চিহ্নিত করে নিয়ে এগোন। "দামী কীওয়ার্ড" সেইসব পণ্যের পাবেন যেগুলি ইমার্জেন্সি সার্ভিস। কেন জানেন? মানুষ বিপদে পড়লে পালানোর পথ খোঁজে। বেশি লোভ থাকলে সেইগুলিকে চিহ্নিত করে নিয়েই লিখুন। নাহলে স্বাভাবিক অনেক পণ্য আছে, সেইসবকে বেছে নিয়ে লিখুন।
কীভাবে গঠনমূলক লেখা লিখবেন?
প্রথমে স্বাভাবিকভাবে লিখে নিন, সেটিকে পাবলিশ করবেন না। একটু সময় নিন। অন্য জনপ্রিয় ব্লগগুলিতে যান। তাদের সোর্স কোড খুলুন, বিবরণ আর কীওয়ার্ড কি কি দিয়েছে তারা দেখুন। তাদের লেখার মধ্যে ১'ম, ২'য়, ৩'য় প্যারাগ্রাফে কীওয়ার্ডের ব্যবহার কীভাবে করেছে দেখুন। আপনার লেখার সাথে মেলান। আপনি সঠিকভাবে কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন পোস্টের মধ্যে এবং শিরোনামেও?

দাঁড়ান, আরেকটু বাকি। ব্রাউজার cache & cookies ক্লিয়ার করুন। চলে আসার আগে আবার ওই ব্লগের পেজ রিফ্রেশ করে দেখুন ওইসব ব্লগে যে যে গুগল বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে সেইসবের টাইটেল ও বিবরণ লাইনে কি কি লেখা আছে? সেইসব শব্দগুলিকে কি নিজের লেখার মধ্যে যুক্ত করেছেন? এইগুলো কিন্তু মারাত্মক কীওয়ার্ড যা সরাসরি বিজ্ঞাপনদাতারা ব্যবহার করছেন! সেই বিজ্ঞাপনের মূল্য কী তা হয়তো আমরা জানবোনা, কিন্তু একটি ভালো পেজরেংক যুক্ত জনপ্রিয় ব্লগে দেখতে পাওয়া বিজ্ঞাপনের টাইটেল ও ভাষাগুলিই হচ্ছে শক্তিশালী কীওয়ার্ড। এইগুলিকে ব্যবহার করে নিজের ব্লগে নিয়ে আসতে চেষ্টা করুন। সব সম্পূর্ণ হলে তারপরে লেখা পাবলিশ করুন।

ফলাফল শীঘ্রই পেয়ে যাবেন।

শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০

কিকরে ব্লগিং করতে হয়? আর ব্লগ কী?

"ব্লগ" নামের ব্যাপারটাই এখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে মানুষের মনে। ব্লগ যে আসলে কী, সেই সংজ্ঞাই অনেকে ভালো করে বলতে পারবেন না। তার কারন, এখন সবকিছু নিয়েই ব্লগিং হচ্ছে। তাই ব্লগিং এখন নির্দিষ্ট কিছু নয়, ব্লগ এখন সবকিছুকেই বোঝায়। ওয়ার্ডপ্রস, ব্লগস্পট, মুভেবল টাইপ এইসবে কিছু না কিছু লিখে ফেললেই সেটা নাকি "ব্লগ"। আমিও আসল সংজ্ঞার দিকে যাচ্ছিনা। তবে, সামান্য ধারনা দিই কিভাবে ব্লগ এলো। কেনই বা এলো। কি হবে ব্লগ দিয়ে।

অনেককাল আগে ডায়েরী লেখার অভ্যাস ছিলো অনেকের। আজকাল ডায়েরী লেখালেখি প্রায় নেই বললেই চলে। ডায়েরী ব্যাপারটাই কেমন যেন নিষিদ্ধ কিছুকেই বোঝানো হতো। যিনি লিখছেন, তার একান্ত ব্যাক্তিগত জিনিস। তার লিখতে ভালো লাগছে কিম্বা ইচ্ছা করছে, তাই তিনি ডায়েরী লিখছেন। কিন্তু সেটা নাকি কাউকে দেখানো যাবেনা, কেউ পড়লেই নাকি গর্হিত অপরাধের সামিল। অর্থাৎ ব্যাপারটা "কেন করছি জানিনা, ভালো লাগে তাই করছি" ধরনের কিছু হয়ে থেকে গিয়েছিলো। এর বাইরে বেরোতে পারেনি ডায়েরী। তবে এর ফলে একটা ভালো জিনিস ঘটেছিলো, তা হচ্ছে লেখালেখির অভ্যাস জারি থাকা।

সাধারন মানুষের লেখা বলতে ছাত্রজীবনের পড়া করে সেইগুলো লেখা। লেখা বলতে রচনা লেখা। ব্যাস, আর কী? এর পরে চাকুরী জীবনে অফিসের হিসাব খাতা লেখা। লেখা বলতে আর কিছু কি হতো? কিন্তু এছাড়াও মানুষের অনেক বক্তব্য ছিলো যা পাড়ার রকে আড্ডার মাধ্যমেই অনর্গল বকে যেতো সবাই। আর বাড়ির মেয়েরা মেয়েলী আলোচনায় তাদের মতো করে আড্ডা দিতো। লেখালেখির বালাই ছিলোনা। যে যা আড্ডা দিচ্ছে, সেটাই লিখতে বললে অনেকেই থমকে যেতো। সেটা লেখা আর হয়ে উঠতো না কারো। কারন, "লেখা" ব্যাপারটাই যে স্কুলে গরুর রচনা লেখা পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেছে! এর বাইরে আবার লেখা কী? এটাই ভাবে অনেকে।

এমনই সময়ে এলো ব্লগ। যারা ডায়েরী লিখতো, তারা অনেক খুশী। ব্লগ লিখতে পারার আনন্দেই তারা ভুলে গেল যে ডায়েরী অন্য কেউ পড়তে না পারলেও ব্লগ যেন সবাই পড়ে এটা ভাবনাই তাদেরকে উত্তেজিত করে তুলেছে। হ্যাঁ, ব্লগ মূলত নিজের কথা লেখার জন্যই এসেছিলো। যিনি যে বিষয়ে যাই বলতে চান, সেইটা লিখে ফেলার ব্যাপার। একই ব্যাপারে যাদের আগ্রহ আছে তাদের পড়ার ব্যাপার এবং মন্তব্য মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেওয়ার ব্যাপার হচ্ছে ব্লগ। এইভাবেই কিন্তু ব্লগ এসেছিলো। পরে অবশ্য বিবর্তনের ঘষামাজায় ব্লগের নানারূপ চেহারা বেড়িয়েছে।

এই যে রিভিউ ব্লগগুলি, এইগুলি আসলে কি, ভেবেছেন কখনো? যারা রিভিউ লিখছেন, তারা তো আসলে নিজেদের মতামতই লিখছেন, তাইনা? কেউ কেউ গল্প আর কবিতা লিখছেন। কেউ নতুন রিলিজ সিনেমা কিম্বা গানের এলবামের রিভিউ লিখছেন। কেউ কেউ "ব্লগ" লেখালেখির উপরে ব্লগ লিখছেন। সব লেখাই ইউনিক হচ্ছে যতোক্ষণ তা নিজের লেখা হচ্ছে। এই দুনিয়ায় কিছু কপি ব্লগার আছেন। যাদের মনে ব্লগিংয়ের শখ অনেক, কিন্তু নিজেরা লিখতে পারেননা। তাদের লেখা অবশ্যই ইউনিক হবেনা। কিছু শতাংশ পরিবর্তন করে ফেলতে পারলেও ইউনিক হবে, কিন্তু সেটা করতেও তো লিখতে জানা চাই! কপি ব্লগাররাও তাও পারেননা।

সবাই ব্লগার নন। ব্লগিং সকলের জন্য নয়। এটা কষ্ট করে মেনে নেওয়াই ভালো।


আরেক ধরনের ব্লগার আছেন, এদেরকে আপনারাও চেনেন, তবে স্বীকৃতি পাননি এরা সেইভাবে। এরা হচ্ছেন মন্তব্য ব্লগার। মানে, এরা ব্লগ লেখেননা, কিন্তু অন্যদের লেখার ব্যাপারে আলোচনা বা সমালোচনা করেন সারাজীবন। এরাও ব্লগার। নিজেদের মত প্রকাশ করেন। তবে একসঙ্গে বেশি লিখতে পারেননা বলেই নিজেরা ব্লগ লেখেননা এরা।

তাহলে মূল বিষয়টা কেমন দাঁড়াচ্ছে? নিজের লেখা, নিজের মতামত, নিজস্ব কিছু কথা - এইই তো? কিন্তু এইভাবে ভাবেন না অনেকেই। তাই অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন। ইউনিক লেখা মানে কী, কিকরে লেখা যাবে ইত্যাদি। আজকে আপনার বাসায় মেহমান এসেছেন, ছিলেন কিছুক্ষণ, অনেক গল্প হয়েছে, প্রচুর খানাপিনা হয়েছে। লিখে ফেলুন না? ইউনিক হবেই হবে লেখাটি। হতে পারবেন সোসিয়াল ব্লগার। পথে কাজে যাচ্ছিলেন, দুর্ঘটনা দেখলেন? লিখে ফেলুন? সিটিজেন জার্নালিস্ট ব্লগার হয়ে যাবেন। নতুন রিলিজ সিনেমা দেখে এলেন, কিম্বা গানের নতুন এলবাম কিনে এনেছেন? লিখে ফেলুন? এন্টারটেইনমেন্ট কিম্বা মিডিয়া ক্রিটিক ব্লগার হতে পারবেন। ইউনিক লেখা নিয়ে আবার ভাবতে হয় নাকি? অন্যের লেখা কপি আর পেস্ট? নাঃ, একেবারেই প্রয়োজন পড়বেনা!

আপনার মনে অনেক কথা, অনেক প্রতিক্রিয়া - সেইসব লিখে ফেলাই ব্লগিং। বিষয় ভিন্ন হতে পারে, মূল ব্যাপার একই। আপনি যা জানেন, বোঝেন, ভাবেন, করেন - যাই লিখবেন, নিজের কথা দিয়েই লিখবেন, তবেই আপনি ব্লগার। টাকা আয় হলো কি হলোনা তা দিয়ে কিন্তু সফল ব্লগার নির্ধারন হয়না। প্রতি পোস্টে ৩০'টা করে মন্তব্য আসার মানেই সফল ব্লগার নয়। লিখবেন, লিখতে পারাই ব্লগিং। এই মূল সত্য বুঝে যদি চালিয়ে যেতে পারেন, পাঠকরাই আপনাকে খুঁজে নেবে।

রাজতন্ত্রই ফিরে এসেছে ভারতে গান্ধী পরিবারের হাত ধরে

কে বলে সেকালের রাজা-প্রজার আমল আর নেই? ভারতেই আছে! হয়তো বা রাজা আর তার রাজদরবারের নামধাম দিয়ে রাজতন্ত্র কায়েম নেই, কিন্তু গণতন্ত্রের লেবেল লাগিয়ে রাজতন্ত্র আছে ভারতে। বিগত ইউপিএ-১ সরকারের আমল থেকেই আছে। এখন ইউপিএ-২ সরকারের আমলেও বহাল তবিয়তে রাজতন্ত্র কায়েম আছে ভারতে। লুকিয়ে লুকিয়ে আগেও ছিলো। সত্যি বলতে কি, স্বাধীনতার দিন থেকেই ছিলো। জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীদের হাত ধরেই দিনে দিনে পাকাপোক্ত ভাবে বাসা বেঁধে নিয়েছে রাজতন্ত্র।

nehru and indira

এই রাজতন্ত্র কায়েমে সাহায্য করেছেন ভারতের প্রচুর নামীদামী রাজনীতিবিদ। কিভাবে ভারতে রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে সেই বিষয়টা বেশ লক্ষ্য করার মতোই। ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রে জনতার রায়ে নির্বাচিত হন প্রতিনিধিরা। সেই প্রতিনিধিরা মিলেমিশে তাদের দলের নেতা বেছে নেন। হিসেবটা শুনতে বেশ ভালোই, তবে এই গণতান্ত্রিক উপায় ধরেই রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে ভারতে। কংগ্রেস দলের হাত ধরে।

নেহেরু, গান্ধী এদের নেতৃত্বে অনেক প্রভাবিত হয়ে কংগ্রেস দলের অন্যান্য নেতারা অলিখিতভাবে চিরকালের জন্য গান্ধী পরিবারকেই নেতৃত্বের সর্বোচ্চ উপযোগী ভেবে নিয়েছেন। ১৯৮৪ সালের ৩১'শে অক্টোবর তারিখে সকালে ইন্দিরা গান্ধী আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পরে পরেই কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত হয়েই যায় যে তাঁর সন্তান শ্রী রাজীব গান্ধীই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

ঘটনার দিন রাজীব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে সফররত। মা আততায়ীর গুলিতে আহত, তিনি সেই খবর পান হেলিকপ্টারে বসা অবস্থায়। তাঁকে সেই হেলিকপ্টারেই উড়িয়ে আনা হয় দমদম বিমানবন্দরে, সেখান থেকে সোজা দিল্লিতে আনা হয় তাঁকে। যে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আততায়ী গুলি করে, তাতেই বোঝা গিয়েছিল যে ইন্দিরা আর বাঁচার সম্ভাবনা নেই। নতুন দিল্লির AIIMS হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, দেশের মানুষ যখন এই কথাই জানে, তখন সকাল ১০-১০'শে বিবিসি ঘোষণা করে দিয়েছে ইন্দিরা মৃত। ভারত সরকার সেই সংবাদ জানিয়েছে সন্ধ্যাবেলায়।

দিল্লিতে সারা দিনভর চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জ্ঞানী জৈল সিং বেশ কয়েকবার মিটিং করেন রাজীবের সঙ্গে। রাজীবের স্ত্রী সোনিয়া আপত্তি করেছিলেন স্বামীর প্রধানমন্ত্রীত্বের ব্যাপারে। অবশেষে AIIMS-এর এক কক্ষে রাজীব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজী হয়ে যান, কারন ভারতের তখন একজন নেতার প্রয়োজন, রাষ্ট্রনেতার গদি বেশীক্ষণ ফাঁকা ফেলে রাখা সম্ভব ছিলোনা।

indira, rajiv and sanjay gandhi

সেই রাজীবও একদিন আততায়ীর আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারালেন। অনেক সকালে খবর এলো রাজীব'জী আর নেই। ১৯৮৪ সালের সেই ৩১'শে অক্টোবর তারিখের মতোই এবারেও সেই ১৯৯১ সালের ২১'শে মে তারিখে ভারত তোলপার হলো।

না, সেবার আর গান্ধী পরিবারের কেউ উপযুক্ত বয়সে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য। সোনিয়া রাজী হলেননা। কারন পুত্র রাহুল ও কন্যা প্রিয়াঙ্কার খুবই অল্প বয়স। আর, ততোক্ষণে সোনিয়া বুঝে গেছেন যে পরিবারের দুইজন নিহত হয়েছেন রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে, একই পরিনতি হয়তো তার এবং তার সন্তানদের ভাগ্যেও আছে। কে জানে! কে বলতে পারে!

কিন্তু না, থেমে যায়নি কংগ্রেস নেতাদের প্রচেষ্টা। মাঝে অন্যান্য নেতারা কিছুদিনের নেতৃত্ব দিলেও সোনিয়ার উপরে যথেষ্ট চাপ ছিলো যাতে উনি রাজনীতিতে আসেন, সাথে পুত্র রাহুলকেও ভারতের রাজসিংহাসনের জন্য উপযুক্ত করে তোলার চাপ ছিলো। এইভাবে পরে একদিন সোনিয়া'জী এলেন রাজনীতিতে, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হয়ে। এই নিয়ে চতুর্থবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদে নির্বাচিত হলেন।

বুঝতেই পারছেন, কেউ প্রতিদ্বন্দীতাই করছেননা। কেন? কারন একটি রাজনৈতিক ছাতার নিচেই সব কংগ্রেস নেতারা নিশ্চিন্তে একটি ব্র্যাণ্ডনেম বানিয়ে রাজনৈতিক শাসন চালিয়ে যেতে চান। এটাই রাজনন্ত্র কায়েমের পথে এগিয়ে চললো। আর হ্যাঁ, এখন সেইদিনের ছোট্ট রাহুল বড় হয়েছেন, প্রিয়াঙ্কাও বিয়ে করেছেন। প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে না এলেও রাহুলকে সযত্নে রাজনীতিতে আনা হলো। সাথে এও নিশ্চিত করা হলো যাতে উনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন।

অবাক হচ্ছেন? সোনিয়া কিন্তু রাজীবের সংসদীয় কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়েই জিতেছেন। সেই নির্বাচনী কেন্দ্রেই রাহুলকেও দাঁড় করানো হলো এবং বহু বছরের পারিবারিক কেন্দ্রের সুবিধা নিয়েই রাহুলকেও জেতানো হলো। সোনিয়া সেই কেন্দ্র ছেড়ে দিলেন ছেলের জন্য। ধীরে ধীরে বেসরকারী ভাবে রাহুলকে crown prince of India নামেই পরিচিত করানো শুরু হয়ে গেলো। এইজন্যই 'রাজসিংহাসন' কথাটা লিখেছি উপরে। আগেকার দিনে ঠিক যেমন করে রাজার ছেলে রাজপুত্র অভিষেক হতো, সেইভাবেই রাহুলকেও ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রচার শুরু হয়ে গেলো।

রাহুল জনদরদী দেশনেতা, এইটা প্রচারের জন্য চললো নানা মজাদার খেলা। দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জাতির সুতা ধরেই এগোনোর চিরকালীন নিয়ম গণতন্ত্রে। রাহুলের ক্ষেত্রেও একই পথ অনুসরণ করা হয়েছে। রাহুল নিজে কিছুই করেননি, তাকে চালিত করা হয়েছে জনপ্রিয়তার পথে। তাই রাহুল হঠাৎ করে চলে যান দরিদ্রদের কুঁড়েঘরে, সেখানে তিনি নাটক করে রাত কাটান, তাদের রান্না করা খাবার তিনি খান, তাদেরই খাটিয়াতে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার পাবলিসিটি করেন।

এইসবই রাজতন্ত্র কায়েমের উদ্দেশ্যেই। ইউপিএ-১ ও ইউপিএ-২ এই দুই সরকারেই তাকে মন্ত্রীত্বের ডাক দেওয়া হয়। রাজপুত্র রাজী হননি। আসলে সেটাও গেমপ্ল্যান। এইটা দেখানো যে উনি মন্ত্রীত্বের লোভী নন। উনি জনদরদী। তার এখন অনেক কাজ। কাজ মানে ওইসব নাটকের অভিনয়ের কাজ। তাই এখন ওনার মন্ত্রীত্ব করার মতো সময় নেই।

অন্যদিকে আসল কাজ চালিয়ে যাবেন তার মা সোনিয়া এবং কংগ্রেসের বড় বড় নেতারা যেমন মনমোহন সিং, প্রণব মুখার্জ্জী, পি. চিদাম্বরম, এ.কে. এ্যন্টনীরা। আরোও আছে, সব নাম করতে গেলে আরেকটা ব্লগ বানাতে হবে!

অনেক তো কথা হলো! রাজপরিবারের বাসভবনের কথা হোক একটু? জানেন দিল্লিতে এরা যে বাংলোতে থাকেন, সেই বাংলোর দাম কতো? দুই বছর আগের হিসাব অনুযায়ী গান্ধী পরিবারের বাংলোর দাম ২০৬ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর বাংলোর দামও এর চেয়ে কম, ১৯০ কোটি টাকা। এই রাজপ্রাসাদেই এসে হাজিরা দেন তাবর তাবর নেতারা। এখানেই বসে রাজদরবার। তবে হ্যাঁ যেহেতু এইটা গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বানানো রাজতন্ত্র, তাই এখানে প্রজার প্রবেশ নিষেধ, এখানে আসতে পারেন কেবল প্রজাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই। তাও সবাই না! 'হাই কম্যান্ড'-এর খুব কাছের লোকরাই আসতে পারেন এখানে।

এই রাজপরিবার ভারতে বিশেষ নিরাপত্তা পান। না আমি জেড সিকিউরিটি কিম্বা জেড প্লাস ক্যাটাগরির সিকিউরিটির কথা বলছিনা। অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের জন্য যে সিকিউরিটি প্রোটোকল আছে, ঠিক সেই প্রোটোকল এদের ক্ষেত্রেও পালন হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ভারতের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত উচ্চস্তরের মন্ত্রীরাও যে প্রোটোকলের নিরাপত্তা পাননা, এরা সেটাই উপভোগ করেন। এর পরেও গরীবদের কুঁড়েঘরে দুইদিনের নাটক করতে হাজির হয়ে যান রাজীব।

rahul gandhi

আরও হাস্যকর সব প্রসঙ্গ আছে। এদের তামাশার গল্প করতে গেলে এই একটা ব্লগ পোস্ট যথেষ্ট নয়। তবুও সামান্য বলি। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ব্যাক্তিগত সম্পত্তির হিসাবে সোনিয়া জানিয়েছেন তার বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, এবং ব্যাংকে টাকার পরিমান শুনলে সবাই কেঁদে ফেলবে কারন তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা আমার আপনার একাউন্টে আছে। রাহুল, তিনিও জানিয়েছেন প্রায় একই কথা, তবে তিনি সামান্য সৌজন্য প্রকাশ করেছেন এই বলে যে দিল্লিতে তার দুইটি দোকান আছে।

আসলেই এদের বাড়ি গাড়ি কিছুই নেই। কারন সবটাই ভারতের জনতার টাকায় চলছে। এই ছিলো সামান্য গল্প, যেবভাবে ভারতে গণতন্ত্রের নামে কার্যত রাজতন্ত্রই কায়েম হয়ে গেছে। আগামী দিনে আরো অনেক খোরাক মিলবে এদের কার্যকলাপে। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে ভারতীয়রা সব জেনেও কিছুই করতে পারছেনা বা করছেনা।

Are you want to be come a GOOD Blogger ?

চারদিকে কেবল ব্লগ আর ব্লগিং রব। অনেকেই অনেক রকমারি প্রসঙ্গ নিয়ে ব্লগ খুলেছেন। সবারই মন ভরা আশা যে ব্লগ সফল হবে, বিপুল জনপ্রিয়তা আসবে, প্রতিদিন হাজারে হাজারে ভিজিটার ভরে যাবে ব্লগে, মন খুশী করে দেওয়া পেজরেংক ও এ্যালক্সা রেংক হবে। ব্লগারের নাম হয়ে উঠবে একটি ব্র্যাণ্ডনেম, নামেই পরিচয় ছড়িয়ে পড়বে... কিন্তু না, মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় যেমন সবাই উঠতে পারেননা, তেমনি সকল ব্লগার খ্যাতির শিখরে পৌছে যেতে পারেননা। যারা পারেননা, তারা কি কি করলে পারবেন, সেইসব নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। সেইসব টিউটোরিয়ালের সাইক্লোনেও অনেক ব্লগার অস্থির, সবকিছু করেও সাফল্য আসেনা কারো কারো। অবশেষে পাশ্চাত্যের প্রোফেশনাল ব্লগারদের কথা ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়।

কিন্তু যারা সাফল্য পেয়েছেন, যতোখানিই হোক, তাদের ভবিষ্যত প্ল্যান কী? সাফল্যের গন্তব্য পর্যন্ত পৌছোনোর আগে একটা লড়াই চলে। গন্তব্যে পৌছে গেলে তখন কী হয়? তার পরে কী? এইসব নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়। কিন্তু এই টপিক খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য কি বাচ্চার হাতের মোয়া? অনেক পরিশ্রম করেই পেতে হয়, এই কষ্টের ধন পেয়ে গিয়ে তখন কী করনীয় সেই আলোচনাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

পৃথিবীর যে কয়টি জিনিসের পেছনে মানুষ দৌড়োয়, সবগুলিই মায়ার খেলা। তবুও জীবনের দৌড়ে মানুষ ছুটে চলে সেইসব ক্ষণস্থায়ী মায়ার পেছনে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এই ছুটে চলার যখন শেষ হয় তখন চারপাশে বিরাজ করে এক অসীম শূণ্যতা আর স্তব্ধতা।

সাফল্যের পথে গন্তব্যের মোড় থেকে পথ দুইদিকে চলে গেছে। একটি পথ আরো ছুটে চলার। আরেকটি, নতুন দিশায় নতুন কিছুর গন্তব্যের দিকে এগোয়। আপনারা কে কোন পথে এগোতে চান? সিদ্ধান্ত নিতে সাবধান! সাফল্যের চূড়ার পৌছে অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননা, সারা মন ছেয়ে থাকে মোহে। সেইসাথে গর্ব আর অহঙ্কারের খেলা দিবানিশি একজন মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে থাকে।

সফল ব্লগার হয়ে আপনি কী করবেন? সমুদ্রের মাঝে অনেকগুলি জাহাজ চেয়ে থাকে লাইটহাউসের আলোর দিকে। আপনি কি উদার নীতি নিয়ে আগামীর ব্লগারদের জন্য দিকনির্দেশনা রেখে যেতে চান নিঃস্বার্থভাবে? নাকি সংকীর্ণ রাস্তায় এগিয়ে সাফল্যের সুমধুর ফলের স্বাদ ভাগ করে খেতে চান কেবল আপনজনদের সঙ্গে? অথবা, গর্ব ও অহঙ্কারের কাছেই নিজেকে ধরা দিয়ে ব্লগার থেকে হিটলারে পরিনত হতে চান? সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনাদের হাতে।

অনেক হেঁয়ালী করছি, তাইনা? কী করবো বলুন, জীবনের পথ মসৃণ হয় যখন জীবনের সব জটপ্যাঁচ ভালো করে জানা থাকে। মায়াবী দুনিয়ার সব খেলার মাঝে নিজেকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলে ধরতে গেলে সব জটপ্যাঁচ জেনে নিয়ে চলতে হবে, ভালোর পথ এগোতে গেলেও কিন্তু মন্দের পথটা জানা চাই, নইলে পার্থক্য করবেন কিভাবে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ? হাত না পুড়লে কি বোঝা যার হাত পোড়ার জ্বালা?

আপনাদের এক একজনের এক এক রকম বয়স। কেউ সমবয়সী নন। যারা ছোট, তারা বড় হচ্ছেন, যারা বড় হয়েছেন তারা আরোও বড় হবেন। সরল দিনগুলো শেষ হয়ে গিয়ে জটিলতার দিন শুরু হয়েই যায়। এই ব্লগ, ব্লগিং এইসব আমাদের সাময়িক উত্তেজনা থেকেই শুরু হয়। কেউ কেউ কিছুদিন পরেই ছেড়ে দেন, কেউ কেউ এগিয়েই চলেন। এগিয়ে চলাদের মধ্যে কেউ কেউ সাফল্যের লক্ষ্যে পৌছেও যান। কিন্তু ওই যে, তার পরে কী, সেটাই জানা নেই ভালোভাবে। তাই আজকে আমি এই প্রশ্ন তুললাম সকলের সামনেই।

আজকে যে প্রশ্ন আমি তুলে ধরলাম ব্লগ ও ব্লগিংয়ের প্রসঙ্গে, আগামী দিনে সবাই এইসব প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন জীবনের অন্য সব প্রসঙ্গেই। সরল করে বলতে গেলে, এ যেন একটি একটি করে পরীক্ষা পাশের পরে পরবর্তী ক্লাশে ভর্তি এবং তার পরে আবারও পরীক্ষার মতো। কিন্তু, জীবনে এমনও অনেক পরীক্ষা আছে যার পরীক্ষক স্বয়ং ঈশ্বর, মার্কস দেন তিনিই - আমাদের কর্মফলের মধ্যে দিয়ে। সামান্যতম ভুলে অনেক নির্মম ও নিষ্ঠুর হয়ে যায় সেই মার্কশিট।